কাশি থেকে কিভাবে রেহাই পাবেন+কাশি দূর করার কিছু প্রাকৃতিক উপায়
কাশি থেকে কিভাবে রেহাই পাবেন+কাশি দূর করার কিছু প্রাকৃতিক উপায়+ খুসখুসে কাশি দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায় ..................
তীব্র কাশির জন্য আমাদের অনেক সময় বিরক্তকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয় । জীবনে কখনো কাশি হয়নি এমন মানুষ খুজে পাওয়া আকাশের চাঁদ হাতে ধরার মত । জীবনে এই বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা সবার জীবনেই আছে । মাঝে মাঝে এমন অবস্থা হয় যেন কাশি শুরু হলে বন্ধ হতে চাই না । ঠিক যেমন যক্ষার মত ।কাশি মুলত শ্বাসনালীর প্রদহের এবং ফুসফুসে জীবাণুর প্রবেশ ঘটলেই হয়ে থাকে। ছোট বড় সবার জন্যে এটি প্রযেজ্য । এমন কিছু গুরুত্তপুর্ন সময় কাশি হয় যা আপনাকে অনেক বড় বিপদে ফেলার মত অবস্থা। অনেক কাশির ওষুধ খেয়েও কোন কাজ হয় না। এমন অবস্থায় খুব সহজেই পারেন কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে ভালো থাকতে। কাশি দূর করার কতিপয় উপায় সম্পর্কে জেনে নিন :
১। অবস্থার পরিবর্তন করুনঃ
খুব বেশি কাশি শুরু হলে আপনি সাথে সাথে অবস্থার পরিবর্তন করুন । শুয়ে থাকলে বসে পড়ুন । আর বসে থাকলে দাড়িয়ে যান । এতে খুব ভালো ফল পাবেন আপনি ।
২। পানি পান করুনঃ
অতিরিক্ত কাশির সময় পানি পান আপনাকে আরাম দিতে পারে । সাথে সাথে আপনার কাশি বন্ধ হয়ে যাবে ।
৩। লবঙ্গ (লং) মুখে রাখুনঃ
আমরা যে লং তরকারিতে খায় তার একটি চমৎকার ক্ষমতা আছে এ বিষয়ে। যা আপনার কন্ঠ নালীকে পরিস্কার করে কাশি থেকে মুক্তি দিতে পারে তাৎক্ষনিক । মুখে রাখার ফলে এক প্রকার পদার্থ নিঃসরণ করে আপনার শান্তি নিশ্চিত করে।
৪। আদাঃ
বহুগুণে গুণান্বিত আদা এই রকম অবস্থাতে আপনাকে শান্তি দিতে পারে । এটা পরীক্ষিত পদ্ধতি যা অত্যন্ত ফলদায়ক ।
৫। বুক ফুলিয়ে দম নেয়াঃ
কাশি থামানোর জন্যে নিজেস্ব ব্যাবস্থা । বুক ফুলিয়ে দম নিয়ে আসতে আসতে দম ছাড়ুন , তা আপনাকে খুব ভালো শারিরিক ও মানুষিক প্রশান্তি দিবে । এতে দেহের প্রতিটি কোষে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ হয় , ফলে প্রতিটি কোষ ভালো ভাবে কাজ করতে পারে ।
কাশি দূর করার কিছু প্রাকৃতিক উপায়:
................................................
১। সকালে নাস্তা খাওয়ার আগে এক চা চামচ মধু খান।
২। চায়ে আদা মিশিয়ে দিনে ৩ বার চা খান।
৩। প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করুন। ১৫ থেকে ২০ গ্লাস পানি প্রতিদিন পান করুন। মাঝে মাঝে কুসুম গরম পানি পান করুন।
৪। তুলসী পাতার রস চায়ের সাথে মিশিয়ে খান।
৫। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান। সবুজ রঙয়ের ফলে ভিটামিন সি থাকে।
৬।আঙুর খেতে পারেন।
৭। ধূমপানের অভ্যাস ছাড়ুন বা বিরতি দিন।
৮। আদা শুকিয়ে তা পিষে নিন। গরম পানির মধ্যে অনেকক্ষণ ফোটান। এ পানি হালকা উষ্ণ করে দিনে দুই থেকে তিন বার পান করুন।
৯। পিপুল, গোলমরিচ ও হরিতকির গুঁড়া পানির মধ্যে মিশিয়ে ভালো করে ফোটান। ফোটানো পানি দিনে দুই বার পান করুন।
১০। লবন, হলুদ, লবঙ্গ এবং তুলসী পাতা একত্রে সিদ্ধ করুন। রাতে শোয়ার আগে পানি হালকা গরম করে পান করুন।
১১। মধু শুধুও খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে রাতে শোয়ার আগে মধু খান।
১২। মধু গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
১৩। আদা+লেবু+চা পান করুন।
১৪। আদা+লেবু+মধু+চা পান করুন।
১৫। গাজর, টমেটো ও কমলালেবুর রস গরম করে খান।
১৬। আদার সাথে লবন মিশিয়ে চিবিয়ে রস পান করুন।
১৭। রসুনের কোয়া ঘি দিয়ে ভেজে খান।
১৮। মাথা কিছুটা উঁচুতে রেখে ঘুমানো ভাল।
১৯। সুগন্ধি, মশার কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার থেকে সাময়িক বিরত থাকুন।
২০। রাতে শোয়ার আগে হালকা ব্যায়াম করুন।
২১। প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে গোসল করুন। পানির সাথে লবন মিশিয়ে নিন। এতে করে ত্বক নরম ও কোমল হবে।
২২। ধুলো ও ধোঁয়া থেকে দূরে থাকুন।
২৩। পরিস্কার জামাকাপড় পরিধান করুন।
২৪। গায়ে ঘাম বসাতে দেবেন না।
২৫। গরম পানিত লবন মিশিয়ে দিনে কয়েক বার গারগাল করুন। আধা লিটার পানিতে ২ চা চামচ লবন মেশান।
খুসখুসে কাশি দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায় :
...................................................
প্রচুর পানি পান করুন। প্রতিবার হালকা গরম পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। দিনে অন্তত ১২ গ্লাস হালকা গরম পানি পান করলে খুসখুসে কাশি কিছুটা কমে যায়।
খুসখুসে কাশির উৎপাত দেখা দিলে ধূমপান ছেড়ে দিন। ধূমপান করলে কাশি বাড়ে। তাই কাশি কমাতে ধূমপান ছাড়ুন এবং ধূমপায়ীদেরকে এড়িয়ে চলুন।
ঘরে মশার ওষুধ কিংবা এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করবেন না। খুসখুসে কাশি বেড়ে যেতে পারে এগুলোর কারণে।
প্রতিদিন ৪টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন। চায়ের সঙ্গে তুলসী পাতা মিশিয়েও খেতে পারেন। তুলসী পাতা খুব দ্রুত খুসখুসে কাশি নিরাময় করে।
দিনে অন্তত ৩ বার গরম রঙ চা খান। চায়ে আদা মিশিয়ে খেলে খুসখুসে কাশি কমে যাবে।
প্রতিদিন সকালে নাস্তা খাওয়ার আগে এক চা চামচ মধু খান। মধু কাশি ও কম কমাতে সহায়ক।
প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে গোসল করুন। এতে শুকনা কফ ও খুসখুসে কাশির উপদ্রব কমে যাবে।
এসব ব্যবস্থা গ্রহন করে খুব সহজে এবং খুব অল্প সময়ে বিরক্তিকর কাশি থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন । তাই আমরা শুধু মাত্র ওষুধের উপর ভরসা না করে , নিজের হাতের কাছে যা আছে তার সাহায্য নিয়ে সুস্থ্ থাকতে পারি।
[ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত]
কাশির ট্যাবলেট এর নাম
ReplyDelete