ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে চাইছে?
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে চাইছে?
কেউ যদি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তবে কি করবেন? অ্যাকাউন্ট হ্যাক কিংবা তথ্য চুরি করা ঠেকাতে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য সম্প্রতি একটি নতুন ফিচার উন্মুক্ত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এ ফিচার ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবহারকারী নিজেই দুর্বৃত্তদের কৌশলে পাঠানো মেইল শনাক্ত করতে পারবেন। সেটিংস মেনুতে ব্যবহারকারীর কাছে সাম্প্রতিক পাঠানো সব মেইলের তালিকা করে রাখতে শুরু করেছে ফেসবুক। সিকিউরিটি অ্যান্ড লগ ইন পেজের নিচে ‘সি রিসেন্ট ইমেইল ফ্রম ফেসবুক’ সেকশন থেকে ব্যবহারকারী তার বার্তাটি বৈধ উৎস থেকে আসা কিনা পরীক্ষা করতে পারবেন। মেসেজ বা বার্তা যদি প্রতারণামূলক হয় তবে তা এই সেকশনে আসবে না।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, (Facebookmail. com) ডোমেইনটি সাধারণত কোনো নোটিফিকেশন পাঠাতে ব্যবহার করে ফেসবুক। যখন লগ ইন বা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো নোটিফিকেশন আসে তখন ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ ডোমেইনটি ব্যবহার করা হয়। যদি ফেসবুকের কোনো মেইল নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় তবে তা সঠিক কিনা তা জানতে (facebook. com/settings) এ যেতে হবে। এখানে সম্প্রতি পাঠানো নিরাপত্তা সম্পর্কিত মেইল পাওয়া যাবে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলেন, ফেসবুকের নাম করে সাইবার দুর্বৃত্তরা ভুয়া মেইল পাঠাতে পারে। যে মেইলে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে বলা হয়। এ ছাড়া পরিচিত প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া মেইল পাঠাতে পারে। এসব মেইল দেখতে হুবহু আসল মেইলের মতো মনে হয়। তবে কিছু সুক্ষ্ম পার্থক্য থাকে। ভালোভাবে খেয়াল না করলে সহজে চোখে পড়ে না। এ ছাড়া অনেক লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে মেইল পাঠিয়ে প্রলুব্ধ করা হতে পারে।
সাইবার দুর্বৃত্তরা নানা কৌশলে ব্যক্তিগত তথ্য, বিশেষ করে অ্যাকাউন্ট লগ ইন করার তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করে। অন্যান্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন লিংকে ক্লিকের মাধ্যমে ক্ষতিকর ভাইরাসপূর্ণ ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। এতে কম্পিউটারের ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার ঢুকে পড়ে। এসব ম্যালওয়্যার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়। এ ধরনের পদ্ধতিকে ফিশিং বলে।
যদি ফেসবুকের ছদ্মবেশে এ ধরনের ফিশিং বা স্ক্যাম মেইল আসে তবে তা (phish@facebook. com) ঠিকানায় অভিযোগ করা যাবে। যদি ফিশিং আক্রমণের শিকার হয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে বলে সন্দেহ তৈরি হয় তবে ফেসবুকের পক্ষ থেকে (facebook. com/hacked) ঠিকানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়। তথ্যসূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
No comments