ইংরেজিতে ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং শেখা ও লেখার কিছু কৌশল

ইংরেজির নাম শুনলেই আমরা অনেকে আর সামনের দিকে যেতে চাই না। ভয় পাই। তবে সবাই না। অনেককে ইংরেজিই ভয়। অর্থাৎ এত ভাল ইংরেজি জানে আর কী!! যেমন - I am agree you! এমন বাক্য বা দক্ষতা দেখলে তো ইংরেজি ভাষাই তার জ্ঞান হারাতে পারেন। তাই নয় কী। তবে এটা তো চলতে দেয়া যায় না। এর লাগাম টেনে ধরতে হবে। আর এটা সম্ভব।
আজকে ইংরেজি ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং সম্পর্কে বলতে চাই। আসলে সবই ফ্রি হ্যান্ডেই লিখতে হয়। কারন হাত বা হ্যান্ড বাধা থাকলে তো লিখতে পারবেন না। ওটা মুক্তই থাকতে হবে। ইংরেজি একটি বিদেশী ভাষা। তাই এতে আপনি বাংলা ভাষার মত দক্ষতা হয়ত অর্জন করতে পারবেন না। তবে একটা স্টান্ডার্ড পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন সেই চেষ্টা করতে হবে। কারন ফ্রি হ্যান্ডে না লিখতে পারলে আপনি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ইংরেজি অংশে ভাল করতে পারবেন না। যেহেতু প্রশ্ন হুবুহু কমন আসবে না। আর এই বুড়ো বয়সে লাইন বাই লাইন আপনার মুখস্থও থাকবে না। ইচ্ছাও জাগে না। আর কত! একটা কথা আছে না, "আর পারি না গুরু; সেই নার্সারি থেকে শুরু"। তাহলে উপায় কী? আছে।
ইংরেজির লেখার অংশ ভাল করার জন্য আমরা কিছু আলোচনা করতে পারি। অনেকে বলে, গ্রামার ছাড়াও ইংরেজি শেখা যায়। এই কথাটি সঠিক। তবে আমাদের ক্ষেত্রে সঠিক না। যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি তাদের ক্ষেত্রে সঠিক। অর্থাৎ গ্রামার ছাড়া আপনি ইংরেজি শুদ্ধভাবে বলতে, লিখতে বা বুঝতে পারবেন না। যেমন- I were gratify in heaven who less uses. এই বাক্যের অর্থ টনি ব্লেয়ারও বুঝবে না যাকে ইংরেজি জন বক্তৃতায় একজন গুরু ভাবা হয়; আপনি আমি তো দুরের কথা! কারন বাক্যটি ব্যাকরণ মেনে হয়নি। তাই সঠিক চিন্তা করুন। কারন মিষ্টি কথায় চিঁড়া ভিজে না।
কোন কোন বিষয়গুলো আয়ত্বে থাকলে আপনি ইংরেজি লেখায় ভালো করবেন...
ক) শব্দের অর্থ শিখুন। যত পারা যায়। অনেকে বলে, মনে থাকে না। কিছু ভুলে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে পড়া থামাবেন না। যা গিয়ে যা থাকে তা-ই লাভ। শব্দের অর্থ না জানলে আপনি লিখতে পারবেন না। তাই ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং এ ভাল করতে হলে আপনার শব্দ ভান্ডার মজবুত থাকতে হবে। আর এটি কিন্তু চলমান প্রক্রিয়া। শব্দ শেখার মধ্যেই থাকবেন। হোক অল্প।
খ) মানসম্মত রাইটিংস এর জন্য টেকনিক্যাল কিছু শব্দের অর্থ বা শব্দগুচ্ছ শিখবেন। যেমন- "ধনী গরিব নির্বিশেষে" এর ইংরেজি হবে Irrespective of rich and poor. আপনি যদি অন্যভাবে বলেন তবে মানসম্মত লেখা হবে না। আপনার লেখার মান ভাল হলে নম্বর ভাল আসবে। এটা তো স্বাভাবিক।
গ) ইংরেজি বাক্য লেখার সময় আপনাকে প্রিপোজিশান ব্যবহার করতেই হয়। এতে অনেকেই ভুল করে। তাই শুদ্ধ বাক্য লিখতে হলে এ সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকতে হবে। এজন্য প্রিপোজিশানগুলোর বাংলা অর্থ ও সাধারন ব্যবহার জেনে নিবেন। অবশ্যই বুঝে বুঝে পড়বেন। আর কিছু Appropriate Preposition পড়ে নিবেন। তাহলে আস্তে আস্তে ভুল কমে যাবে।
ঘ) Tense সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকতে হবে। এটা ছাড়া কিচ্ছু করার নাই। ১২টি টেন্স বাংলা সংজ্ঞা, চেনার উপায় ও গঠনপ্রণালীসহ ভাল করে পড়বেন যেন বাক্য দেখলেই আপনি বোঝেন কোন টেন্স অনুযায়ী লিখতে হবে। ধরুন, আপনি বলতে চাচ্ছেন, "কালকে স্কুলে যাব". এটি যদি এভাবে লিখেন, I was go school. তাহলে কী হলো। যে খাতা দেখবে সে অজ্ঞান হয়ে যাবে। আপনার কাউকে অজ্ঞান করার অধিকার নাই। তাই ভালো করে টেন্স পড়ুন।
ঙ) প্রচুর অনুশীলন করুন। বুঝে বুঝে করুন। ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং এর জন্য অনুশীলন ব্যাপক কাজে দেয়। সম্ভব হলে যে ফ্রি হ্যান্ডে ভাল তার সহায়তা নিতে পারেন। লেখার পর তাকে দেখাতে পারেন। সে ভুলগুলো চিহ্নিত করে দিলে বুঝে নিন। লজ্জার কিছু নেই। আর আমাদের লজ্জা আস্তে আস্তে কমছে তা তো বোঝাই যাচ্ছে। নাকি?
চ) ইংরেজি পত্রিকা থেকে একটু সাহায্য নিবেন। প্রত্যেক দিন দরকার নাই। কলামগুলো পড়ার সময় খেয়াল রাখবেন কিভাবে ওরা বাক্য তৈরী করল। এটা মাঝে মাঝে নিজেও অনুসরণ করবেন। আর নতুন শব্দ পেলে মুখস্থ রাখবেন।
ছ) যদি সম্ভব হয় প্রতিদিন একটা টপিক ধরে এক পৃষ্ঠা করে লিখবেন। চর্চা না করলে তো হবে না। প্রথম দিকে সহজ টপিক নিয়ে লিখবেন। আস্তে আস্তে কঠিন নিবেন।
জ) তথ্যভিত্তিক ইংরেজি লেখা হলে শুধু ইংরেজিই লিখবেন না সাথে তথ্য দিবেন। এতে লেখার মান বাড়বে। আর রিডার সন্তুষ্ট হলে আপনার লাভ।
ঝ) টেন্স ও প্রিপোজিশান সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণার জন্য চৌধুরী এন্ড হোসাইন এর এসএসসি ইংলিশ সেকেন্ড পেপার গাইডটা পড়তে পারেন। ইংরেজি পত্রিকা The Daily Star নিন।
একদিনে ইংরেজি লেখায় উন্নতি হবে না। আস্তে আস্তে হবে যদি আপনি নিয়ম মেনে সামনের দিকে যান। রাইটিং এ শুধু দুর্বল, দুর্বল বললে হবে না। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে। ভাল করার ইচ্ছা থাকতে হবে। তবেই আপনি ফ্রি হ্যান্ডে ভাল করতে পারবেন।

শাহ্ মো: সজীব
প্রশাসন ক্যাডার (২য় স্থান)
৩৪তম বিসিএস।

No comments

Featured post

একনায়িকাতন্ত্র

আমার বুকের ভেতরের "মন" নামক রাষ্ট্রে ভালোবাসার অজুহাতে যে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা চলছে, তার নাম একনায়িকাতন্ত্র। নায়িকার ইচ্ছেমতো...

Powered by Blogger.